আর ইফতারের আয়োজন করা হবে না; ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দীর্ঘদিন ধরেই রমজান মাসে ইফতারের রীতি চলে আসছে। তবে এ বছর থেকে আর ইফতারের আয়োজন করা হবে না বলে রাষ্ট্রপতি ভবন জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির এক অফিসার জানিয়েছেন, শুধু ইফতার নয়, কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানই আর রাষ্ট্রপতি ভবনে পালিত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব অশোক মালিক সংবাদসংস্থা পি টি আইকে বলেন, “রামনাথ কোভিন্দ দায়িত্ব নেয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো সরকারী ভবনগুলোতে কোনো ধরণের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা চলবে না। এ ধরনের সব অনুষ্ঠানই যেহেতু করদাতাদের দেয়া অর্থে করা হয়, তাই ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ করে কোনোরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।”
তবে প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জয়ন্তীতে দেশবাসীকে নিয়মমাফিক শুভেচ্ছা বার্তা দেয়া বন্ধ করেননি রাষ্ট্রপতি।
বহুদিন ধরেই রাষ্ট্রপতি ভবনে রোজার সময়ে ইফতার আয়োজিত হয়ে আসছে। এর আগে এ পি জে আব্দুল কালাম যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই পাঁচ বছরও অবশ্য রাষ্ট্রপতি ভবনে ইফতার আয়োজিত হয়নি।
তবে তার পরে দায়িত্ব নেয়া প্রতিভা পাতিল বা কোভিন্দের আগে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন থাকা প্রণব মুখার্জী প্রতিবছরই ইফতারের আয়োজন করতেন।
রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোভিন্দকে নিজেদের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এন ডি এ জোট।
এর আগে তিনি বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন, তবে তার মূল পরিচিতি ছিল বিজেপি’র দলিত মোর্চার শীর্ষ নেতা হিসাবে। দুইবার বিজেপি তাকে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সদস্য করে পাঠিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি ভবনে যেমন এবছর থেকে ইফতার বন্ধ করে দিয়েছেন কোভিন্দ, তেমনই হিন্দু পুনরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সবিসিঙ্ঘ বা আর এস এস-এর নাগপুর সদর দফতরে ইফতার আয়োজনের প্রস্তাবও নাকচ হয়ে গেছে। সঙ্ঘের মহারাষ্ট্র শাখার প্রধান ওই ইফতারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।