আমের মুকুলের ছড়াছড়ি, বাম্পার ফলনের আশা
রাজশাহী সংবাদদাতা: মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে রাজশাহীর আমবাগান। সারি সারি আমবাগানের কাছে গেলেই পাওয়া যাচ্ছে মুকুলের ম-ম গন্ধ। এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলেছে গাছে গাছে ভরপুর স্বর্ণালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে প্রতিটি আম গাছের মাথা নুয়ে পড়ার উপক্রম। মৌমাছিরাও ব্যস্ত সময় পার করছে মধু আহরণে। মুকুলের সমারোহ দেখে অত্যন্ত প্রফুল্ল আম চাষিরাও।
তবে গত কয়েকদিন ধরে ভোরের দিকে ঘন কুয়াশায় হওয়ায় কিছুটা ভয়ের কাটছে আম চাষিদের দিন। কারণ, ঘন কুয়াশায় আমের মুকুলের ক্ষতি করে বিভিন্ন রোগব্যাধি। তবে আমের মুকুলের সঠিক পরিচর্যার করলে রোগব্যাধিসহ অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জিএমএম বারি ডলার। তিনি বলেন, কুয়াশা খুব বেশি হলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামে রোগ হতে পারে।
নগরীর লক্ষীপুর এলাকার আম বাগানের মালিক নাজমুল ইসলাম কাজল বলছেন, এ বছর আমের মুকুলেই গাছ যেনো নুয়ে পড়েছে। তাই পূর্ব প্রস্তুতি ও পরিচর্যা নিচ্ছি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও ফল গবেষণার কৃষিবিদদের সহায়তায়। কাজে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে, মুকুলের সমারোহ দেখে মনটাও বেশ ভালো। তবে আবহাওয়ার বিপর্যয় ঘটলে আমাদের আশা হতাশায় যেনো না রূপান্তরিত হয় সেই দোয়া প্রার্থনা করছি আল্লাহ উনার দরবারে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও কৃষিবিদ উম্মে সালমা বলেন, কয়েকদিন ধরে রাজশাহীতে ভোরে ঘন কুয়াশা হলেও এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ, গাছের ঠিকমত পরিচর্যা নিলে মিলডডিউ ও বিভিন্ন ভাইরাসজনিত আক্রমণ থেকে রক্ষা সম্ভব। তাছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। তাছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকারও কৃষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পূর্বের চাইতে অধিক লাভের মুখ দেখবেন আম চাষিরা।