ছুলাছা (মঙ্গলবার), ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প হল ইন্দোনেশিয়ায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশের মেনতাওয়াই দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবারের এই ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। ভূমিকম্পের পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ করছেন কর্মকর্তারা। তবে তাৎক্ষনিকভাবে ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইট। গত বছর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে প্রায়ই ভূমিকম্পের শিকার হয় ইন্দোনেশিয়া। ২০১০ সালে মেনতাওয়াই দ্বীপে সুনামির আঘাতে প্রাণ হারায় প্রায় চারশো মানুষ। ২০০৯ সালে পাদাংয়ে এক ভূমিকম্পে এগারোশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গত বছর সুলাবেসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রাণ হারায় দুই হাজার দুইশো মানুষ। এছাড়া বছরের শেষ দিকে জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যবর্তী সুন্দ্রা প্রণালীতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে চার শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শনিবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুয়াপেজাত শহরের একশো কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং বন্দরনগরী পাদাংয়ের দুইশো কিলোমিটার দক্ষিণে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরতায়।

মেনতাওয়াই দ্বীপের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সংস্থার আকমল নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তুয়াপেজাত শহরে বেশ শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু নিরাপদ রয়েছে’।

ভূমিকম্পের পর কিছু সময়ের জন্য ভীত হয়ে পড়েছিলেন পাদাং শহরের বাসিন্দারা। শহরের এক বাসিন্দা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা খুব ভয়ের বিষয় ছিল। এনিয়ে আজ দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প হলো। বাড়িঘর কাঁপতে থাকায় আমরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসি’।

Facebook Comments Box