“আদালত প্রাঙ্গন থেকে নওমুসলিমকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ”
অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গন থেকে নওমুসলিমকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় চলছে।
এ নিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী Al Jabed Hossain Tanvir ফেসবুক স্টাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
“ফাহিমা জান্নাত(বর্তমান নাম)
–
গোপনে ৮/৯ বছর ধরে ওনি ইসলাম ধর্ম পালন করছিলেন। সুমিষ্ঠা রায় থেকে নিজের নাম ফাহিমা জান্নাত রাখলেন। সমস্যা ছিলনা ৮/৯ বছরে। সমস্যাটা বাঁধলো গত ১৩ আগস্টে।
পরিবার ওনার বিয়ে ঠিক করে। বিয়েটা হিন্দু ছেলের সাথে হওয়ায় ওনি রাজি হননি। কারণ ওনি সুস্থ মস্তিষ্কে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ৮/৯ বছর চুপিসারে মুসলিম হয়ে ছিলেন।
যখন বিয়ে ঠিক হল, তখন ওনি ঠিক করলেন আর সম্ভব নয়। দরকার হলে পালিয়ে যাবো। ইসলামকে ত্যাগ করা যাবেনা। তাই ওনি ১২ আগস্ট পালিয়ে যান। এর পর ওনি শেল্টার নেন কোনো এক মুসলিম ভাইয়ের ঘরে। যিনি ঠিকটাক মত ওনাকে শেল্টার দিয়েছেন।
কিন্তু পরিবার হঠাৎ করে অপহরণ মামলা দিয়ে আজ বোয়ালখালী থানায় ওনাকে হাজির করেন। সাথে তাকেও হাজির করেন যিনি শেল্টার দিয়েছেন। তারপর নানা রকম অজুহাতে শেল্টার দেয়া ব্যক্তিকে তারা ফাঁসাতে চেষ্ঠা করলো।
অবশেষে, কোর্ট যখন রায় দিল যে ওনি মাস্টার্সের ছাত্রী আর নিজের দ্বীন নিজে গ্রহণ করেছেন। তাই এটা ওনার নিজস্ব বিষয়, তখন ওনার আত্মীয় স্বজনরা এবং অনেক দলবল একসাথে এসে ওনাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
তুলে নেয়াটা সন্ত্রাসী কায়দায় ছিল। যারা ওনার পক্ষে লড়ছিলেন তাদেরকে বলা হল, ওনার বাবা অসুস্থ। তাই ওনার বাবাকে মেডিকেলে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে এটা কোনো আইনী রীতি নয়। ধর্ম গ্রহণ করার পর কেউ চাইলে তাঁকে জোর করে আবার নিজের পরিবারে টানতে পারবেনা। নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে আসার কারণে এখন ওনার উপর অনেক অত্যাচার করবে বলে মনে হয় আমার।
আজ সারাদিন বোয়ালখালী ও কোর্টে ওনার হয়ে যারা ইসলামের পক্ষে লড়েছেন তারা এক রকম সংখ্যালঘুর মত ঠাই দাঁড়িয়ে রইলেন যখন ওনার আত্মীয় স্বজনরা ওনাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো।
এখন ইসলামের খাতিরে ওনার পরিবারকে বুঝানো এবং ওনাকে সেইফটি দেয়াটা সকল মুসলিমদের কর্তব্য। সেটা করতে না পারলে আমাদের মুসলিমত্ব নিয়ে গৌরব করার কোনো দরকার নেই।
মুহাম্মদ আল জাবেদ হোসাইন
২৫ আগস্ট, ২০২০ ইং | মঙ্গলবার”
এ বিষয়ে মেয়েটির পক্ষে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া মুর্শেদ বলেন, “আমিই এই মেয়েটির মামলা ডিল করেছি গতকাল। আমাদের নিযুক্ত আইনজীবিদের তুলনায় হিন্দুদের আইনজীবিরা সংখ্যায় বেশি ছিল। আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হিন্দু উকিলরা মারমুখী অবস্থানে ছিল। আমরা সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ আমরা জানতাম কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে আসবে।”
Facebook Comments Box