আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে বকশীবাজারে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি এ মামলার অন্যতম আসামি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হন খালেদা জিয়া। আদালতে পৌঁছান পৌনে দুইটার দিকে।
এ মামলার আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে সকালেই। বকশীবাজার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আদালত বসেছেন। আশপাশ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। এ মামলার আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বকশীবাজার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ছয়জন আসামি। এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, এতে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন, সর্বনিম্ন যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ড। এর সঙ্গে আর্থিক কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিদেশ থেকে পাঠানো এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্য বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক এই মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।