আকাশে ভেসে বেড়াতে কে না চায়।

আকাশে ভেসে বেড়াতে কে না চায়। আবার ভেসে বেড়ানোর কথা বললেই চলে আসে উড়োজাহাজের প্রসঙ্গ। অবশ্য উড়োজাহাজের টিকিট না কেটেও এই অনুভূতি নিতে পারবেন—যদি অনেক উঁচু কোনো স্থাপনায় ওঠেন এবং সেখানে স্কাইওয়াকের ব্যবস্থা থাকে। চীনে এবার তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কাইওয়াক। আকাশে ভেসে বেড়ানোর অনুভূতি দিতে সেটি কাচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
চীনের চংকিংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ওয়ানশ্যাং শহরের অরদোভিসিয়ান পার্কে ইংরেজি ভি আকৃতির এই স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছে। একটি পাহাড়ের গায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। পাহাড় থেকে প্রায় ৭০ মিটার দূর পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। এর নিচে আছে ধাতব কাঠামোর ভিত্তি। আর মেঝে থেকে শুরু করে বাকি সবই কাচ দিয়ে তৈরি। ফলে হাঁটার সময় আক্ষরিক অর্থেই মনে হবে যে আকাশেই হাঁটছেন।
এর সামনে খোলা আকাশ আর সবুজ পাহাড়। আর নিচের দিকে তাকালে বোঝা যাবে বাতাসে ভেসে থাকার অনুভূতি। ১২৩ মিটার নিচের বাড়ি-ঘরগুলোকে মনে হবে পিঁপড়ের বাসা!
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, চীনের এই স্কাইওয়াকে এরই মধ্যে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। তবে একসঙ্গে ৩০ জনের বেশি ব্যক্তিকে এতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই এই স্কাইওয়াকে উঠছেন ছবি বা সেলফি তোলার জন্য। কেউ কেউ আবার শখ করে ওঠার পর নিচের দিকে তাকিয়েই ভড়কে যাচ্ছেন, শক্ত করে ধরে থাকছেন রেলিং।
চলতি বছরের প্রথম দিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড একে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা স্কাইওয়াকের স্বীকৃতি দেয়। তবে এ ধরনের স্থাপনা চীনে এটিই প্রথম নয়। এর আগে দেশটির সিনিক পার্ক ও হুনান প্রদেশেও একই ধরনের স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছিল। তবে হুনান প্রদেশে তৈরি স্কাইওয়াকটি মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।